গতকাল একটি জমিদার বাড়িতে বেড়াতে গেছিলাম - ইটাচুনা রাজবাড়ি।
সেখানে একটি অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হল।
দুপুরে পৌছে যখন ঘরে ঢুকলাম, তখন ঘরে বেশ গাঁ গাঁ করে এসি চলছিল।
রাতে ঘুমোতে গিয়ে দেখলাম এসি কাজ করছে না। খবর দিলাম রিসেপশনে। একজন এসে দেখেও গেল, কিন্তু কিছু করতে পারল না। বলল খারাপ হয়ে গেছে, কালকে মিস্ত্রি এসে ঠিক করে দেবে।
রাতে গল্প টল্প করে বালিশ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি কখন খেয়াল করিনি, হঠাৎ মাঝ রাত্রে প্রচন্ড ঠান্ডায় ঘুম ভেঙে গেল। দেখলাম এসি কিন্তু জোরে আওয়াজ করে চলছে। একটু খটকা লাগল, এসির সুইচ তো আমি চালাইনি, তো কিকরে চলল ? লাইট জালিয়ে দেখলাম এসির সুইচ কিন্তু বন্ধই। ঘাবড়ে গেলাম বেশ। কিরকম হল এটা? এসির সুইচ বন্ধ কিন্তু এসি চলছে।
যাই হোক, মনকে বোঝালাম মেকানিকাল ডিফেক্ট, এই ভেবে বিছানায় উঠতে যাব, দেখি বালিশ টাও হাওয়া।
আমি পাশ বালিশ ছাড়া ঘুমতে পারি না, ছোটোবেলাকার অভ্যেস, তো কোথায় গেল বালিশ? খুজতে খুজতে দেখি বিছানার তলায় গড়াগড়ি খাচ্ছে।
সেকিরে বাওয়া? ফুটবল খেলছিলাম নাকি শুয়ে? যাই হোক পাশবালিশ টা উঠিয়ে আবার শুলাম।
রাতে আর কিছু হয়নি। সকালে উঠে দেখি আবার পাশবালিশ টা আবার নেই। খোজ করতে গিয়ে দেখলাম বালিশ টা দূরে সোফার সামনে পড়ে আছে।
মাথা কাজ করছিল না। সকালে যিনি চা বিস্কুট দিতে ঘরে আসেন, তাকে জিজ্ঞেস করলাম।
প্রথমে কিছু বলতে চাইল না। হাতে ১০ টাকার নোট ধরাতে বলল যে এখানে এরকম নাকি হয়। তেনারা আছেন, কারোর ক্ষতি করেন না, নিজেদের মনে ঘুরে বেড়ায়। আরো বলল যে মাঝরাতে নাকি অনেকসময় ফার্নিচার টানাটানি করার শব্দ শোনা যায় রাতে। কিন্তু ওপরে তো ছাদ. তাহলে?
উত্তর এল - ওই আর কি? ওনারা একটু ছাদে হেটে বেড়ান, তাই আর কি শব্দ হয়।
কি বলব ভেবে পেলাম না. শুধু বুঝলাম না ওনারা সব ছেড়ে আমার পাশবালিশ টা কে নিয়ে কেন মাঝরাতে টানাটানি করলেন?
No comments:
Post a Comment